একদিন ফরহাত বালাখানার এক কামরায় বসে তাঁর পরিচারিকার সাথে কথা বলছেন। আচানক সিঁড়ির উপর কার ছুটে আসার আওয়াজ শোনা গেল। দেখতে দেখতে বারো বছরের কাছাকাছি বয়সের একটি শ্যামবর্ণ বালক এসে কামরায় প্রবেশ করলো।
পরিচারিকা বললো: মুনাওয়ার, তুমি বড় নালায়েক হয়েছো। বিবিজী কতোবার তোমায় মানা করেছেন সিঁড়ির ওপর ছুটাছুটি করতে!
মুনাওয়ার পরিচারিকার জওয়াব না দিয়ে ফরহাতকে লক্ষ্য করে বললো: আজ এক মেহমান এসেছেন। খুব বড় লোক মনে হচ্ছে। এসেই তিনি ভাইজান আনওয়ার আলী ও ভাইজান মুরাদ আলীর কথা জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দীলাওয়ার আলী ও সাবেরের কথা জানতে চাইলেন। সাবের তো মরে গেছে।
পরিচারিকা বললো: মুনাওয়ার, তুমি বড় নালায়েক হয়েছো। বিবিজী কতোবার তোমায় মানা করেছেন সিঁড়ির ওপর ছুটাছুটি করতে!
মুনাওয়ার পরিচারিকার জওয়াব না দিয়ে ফরহাতকে লক্ষ্য করে বললো: আজ এক মেহমান এসেছেন। খুব বড় লোক মনে হচ্ছে। এসেই তিনি ভাইজান আনওয়ার আলী ও ভাইজান মুরাদ আলীর কথা জিজ্ঞেস করলেন। এরপর দীলাওয়ার আলী ও সাবেরের কথা জানতে চাইলেন। সাবের তো মরে গেছে।
শহীদ টিপু সুলতানের সত্যি ছবি |
ফরহাত বললেন: তুমি তার নাম জিজ্ঞেস করনি?
: জ্বী, তিনি নিজেই বললেন তার নাম আকবর খান!
ফরহাতের কাছে এ খবর অসাধারণ! কয়েক মুহুর্ত তিনি নির্বাক হয়ে বসে রইলেন।
আকবর খান একটি কুরসীর ওপর বসে ভাবছিলেন। মোয়াযযম আলীর সাহচর্যের দিনগুলির অগণিত ঘটনা একে একে ভেসে যেতে লাগলো॥ তিনি সেরিংগাপটমে আসবেন আর সেখানে মোয়াযযম আলী থাকবেন না, তার শাহাদাতের খবর পাবার আগে কখনো মনে আসেনি।
ফরহাত একটি শাদা চাদরে আবৃত হয়ে কম্পিত কণ্ঠে সালাম দিলো, ভাই, আকবর, আসসালামু আলাইকুম।
নসীম হিজাযীর অন্যতম শেষ্ঠ্র উপন্যাস খুন রাঙ্গা পথ এর ধারাবাহিকতায় টিপু সুলতানের প্রতিরোধ আন্দোলনের ইতিহাস এটি। ডাউনলোড করুন এবং শেয়ার করুন।
0 comments:
Post a Comment