সিন্ধু উপকূলের নৌডাকাতরা আরবদের সর্বস্ব লুটে নিল। নারী শিশুসহ বন্দি করল সবাইকে।
নির্যাতিতা এক আরব কন্যার আর্তনাদ ও উদ্ধারের আবেদন নিয়ে হাজ্জাজের কাছে রওয়ানা হলো এক অভিযাত্রী। লুটেরাদের ধৃষ্টতায় আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে ওঠলেন জাত্যাভিমানী হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। শপথ নিলেন তিনি, যে করেই হোক নিরাপরাধ মুসলিম নারী, শিশু ও অমুসলিম পর্যটকদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচারের জন্যে রাজা দাহিরকে উচিত শিক্ষা দেবেন।
এক স্বজাতি কন্যার সম্ভ্রম রক্ষা আর নির্যাতিতাদের উদ্ধারে হাজ্জাজের সহযোগী হলো বসরা, বাগদাদ তথা ইরাকের হাজার হাজার যুবক, কিন্তু বাধ সাধলেন আয়েশী খলিফা। অথৈ সাগর, বিস্তর দুরত্ব,দূর্গম অচেনা, অজানা পথ আর খলিফা ওয়ালিদ বিন মালিকের বিরোধিতা সত্ত্বেও অত্যাচারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে শুরু হলো লোমহর্ষক অভিযান........।
কিন্তু অপরিচিত সিন্ধু উপকূল ও ভারতের বিশাল শক্তির কাছে পরপর ব্যর্থ হলো দু’টি অভিযান। শাহাদাত বরণ করলেন সেনাপতিসহ শতশত মুজাহিদ।
অবশেষে মাত্র সতের বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসিমকে অপরাজেয় সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে পাঠালেন হাজ্জাজ। বিপুল শক্তির অধিকারী সিন্ধুরাজের বিরুদ্ধে এক কিশোর সেনাপতি.....।
নির্ভীক চিত্তে ও দৃঢ়পদে, বিজয়ের কঠিন সংকল্প নিয়ে শুরু হলো বিন কাসিমের ভারত অভিযান.....কিন্তু কিভাবে? আসুন! এই শ্বাসরুদ্ধকর উপাখ্যানের ভিতরে প্রবেশ করি....।
0 comments:
Post a Comment