সভ্য জগতের কাছে চেংগিস খানের কৌশল ছিলো সম্পূর্ণ নতুন। তাতারদের বিষ্ময়কর সাফল্যের মূলে ছিলো তাদের দূরন্ত গতি! ঘোড়ার নাঙ্গা পিঠের ওপর সওয়ার হয়ে তারা ছুটে বেড়াতো, প্রত্যেকের সাথে থাকতো কয়েকটি করে ঘোড়া, একটি ক্লান্ত হলে অন্যটায় চড়ে বসতো, ক্ষুধা ও পিপাসার জন্যও ওই ঘোড়াই তাদের জন্য ছিলো যথেষ্ট।যেকোন অভিযানে তাদের সাথে থাকতো খুবই সামান্য রসদ!
আব্বাসীয় খলীফাদের ঘুমে ঢুলুঢুলু অসতর্কতা আর অবিশ্বাস- কোন্দলের জামানায় এলো এ তাতারি গজব! বাগদাদের বিতর্কসভার আলেম ওলামাদের আরাম-আলস্যের আমোদে আচানক প্রচন্ড রোষে হামলে পড়লো দুর্দান্ত মোঙ্গল তাতারীরা। তছনছ করে দিলো তখনকার স্বপ্ন সাধের সাজানো বাগদাদ...
তবে, ইতিহাসের এই চূড়ান্ত ক্রান্তিলগ্নেও আল্লাহর এক বান্দা বাগদাদের প্রান্ত থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশের অভ্যন্তর পর্যন্ত তাতারীদের সয়লাব রুখে দাঁড়ালেন। তিনি মুর্খ খারেজম শাহের দূরদর্শী বিজ্ঞ পূত্র, যুগের দুরন্ত মুজাহিদ, সত্যিকারের ঈমানদার জালালউদ্দিন!
চেঙ্গিস খান হালাকু খানদের বর্বরতার প্রতাপের পাশেই সমুজ্জ্বল বীরত্ব ও শাহাদাতের তামান্নায় সর্বস্ব কুরবানী করে ময়দানে ময়দানে বিজয়ের বার্তা বয়ে আনা জালালউদ্দিনের প্রতিরোধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করেই শেষ প্রান্তরের গল্প!
0 comments:
Post a Comment