জীবন মৃত্যু পরকাল ও আত্মার হালচাল [Jibon Mrityu Porokal]
Written By Bangladeshi on Friday, 10 March 2017 | 00:31
বইটি সরাসরি পড়ুন
অথবা
ডাউনলোড করুন
বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী, দু’টি পাতা ও একটি কুঁড়ির দেশ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান অধ্যুষিত আবাসভূমি সিলেটে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অঙ্গনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী বহু রত্নগর্ভা সন্তান জন্ম নিয়েছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দানকারী এ কৃতি পুরুষদের কৃতিত্ব সিলেট তথা জাতি শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে। জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী প্রতিভাধর এরকম এক ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন আব্দুল মতীন জালালাবাদী। বহু গ্রন্থ প্রণেতা, অনুবাদক, সু-সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সম্পাদকসহ বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী আব্দুল মতীন জালালাবাদী সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ, বাংলাদেশের আলেম সমাজের নেতৃত্বদানকারী অনেক সিংহ পুরুষের জন্মস্থান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কানাইঘাট উপজেলার উপর ঝিংগাবাড়ী গ্রামে এক ধর্মপ্রাণ সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩১ সালের ২০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। এবং গত ৫ জানুয়ারী ২০১৫ শুক্রবার ভোর ৬ টায় ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
আব্দুল মতীন জালাবাদীর পিতা মরহুম মৌলভী সাজিদ আলী ছিলেন একজন ধর্মপরায়ন ব্যক্তি ও আদর্শ শিক্ষক এবং মাতা মরহুমা সুফিয়া খাতুন একজন খোদাভীরু ধর্মপ্রাণ সুগৃহিনী। লেখাপাড়ার বয়স হতে না হতেই পিতার কাছে কিছুটা ঘটা করেই প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি আব্দুল মতীন জালালাবদীর। কিন্তু অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ হওয়ার কারণে তিনি খোদাপ্রদত্ত প্রতিভা, শ্রম ও অধ্যবসায়কে সম্বল করে ঝিংগাবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসা থেকে মিড্ল স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট, আলিম, ফাযিল এবং সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অত:পর কিছুদিন শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তারপর সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। একই সাথে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ, ক্রেডিটসহ বি.এ. এবং প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।
পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। অত:পর যথাক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক কৃষিকথার সহযোগী সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারের কৃষিতথ্য সার্ভিসের যথাক্রমে উপ-সম্পাদক, প্রকাশনা অফিসার, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ অফিসার, ম্যানেজার (প্রেস এন্ড পাবলিকেশন) ও রিজিওন্যাল ফার্ম ব্রডকাষ্টিং অফিসার পদে চাকুরী করেন।
সরকারী চকুরীর সাথে সাথে অবৈতনিক বে অথবা নির্দিষ্ট সম্মানীভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক ও খন্ডকালীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষক, ঢাকা বেতারের বেতার-কথক, ঢাকা থেকে প্রকাশিত মাসিক শান্তিদূত-এর নির্বাহী সম্পাদক, ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রবাসীর ডাক-এর পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারী ও প্রধান প্রতিবেদক, ঢাকাস্থ বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির সেক্রেটারী, ঢাকাস্থ এরাবিক লেঙ্গুয়েজ সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল, ডাকযোগে কুরআন প্রচার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ‘ডাকযোগে কুরআন অধ্যয়ন’ (‘ডাকযোগে বাইবেল’-এর মোকাবেলায় পরিচালিত) এর প্রকল্প ও পাঠ্যক্রম রচনাকারী (ইসলাম প্রচার সমিতি, ঢাকা কর্তৃক প্রকল্পটি এখনো চালু আছে), ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এর অন্যতম সমীক্ষক, সম্পাদক, লেখক, অনুবাদক, ইসলামি বিশ্বকোষের প্রবন্ধকার এবং ইমাম ও মুবাল্লিগ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিশেষজ্ঞ বক্তা ও আলোচকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৫৩-৫৪ সালে ঝিংগাবাড়ী আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারী, ১৯৫৫ সালে নিখিল জৈন্তা প্রগতি সংঘ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১৯৫৬ সালে সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারী, ১৯৭১ সালে ঢাকাস্থ কালিমাত্ল্ল্যুাহ্ মুসলিম মিশনের মহা পরিচালক, ১৯৭৩-৭৬ সালে ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সংবিধান রচনা সাব কমিটির সেক্রেটারী, ১৯৭৬ সালে ঢাকাস্থ ওয়াল্ড মুসলিম ইয়থ মিশন (অধুনালুপ্ত)-এর সেক্রেটারী জেনারেল, ১৯৮২ সালে ঢাকাস্থ কৃষিতথ্য সার্ভিস কল্যাণ সমিতির সভাপতি, ১৯৯১ সালে সিলেটের কৃতিসন্তান প্রখ্যাত সমাজসেবী ও প্রাক্তন মন্ত্রী মরহুম জনাব এম.এ. হকের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী জনসেবা প্রতিষ্ঠান “ডাফা” (ডাইরেক্ট এ্যাকশন ফর এ্যালিভিয়েশন অব পভার্টি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৯৪ সালে তাঁরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রম” এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৯৪ সালে তাঁরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রম “উঠো বাংলাদেশ”-এর জয়েন্ট সেক্রেটারী ও অধুনাকলে (২০০০ইং) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সদস্য, ঢাকাস্হ কানাইঘাট সমিতির উপদেষ্টা, হাককানী আনজুমান, ঢাকা-এর প্রেসিডেন্ট ও মুতাওয়াল্লী এবং মাসিক দ্বীনে হানিফ-এর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী এ জ্ঞানতাপস এ যাবৎ ধর্ম, দর্শন, কৃষি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, জীবনী এবং ভ্রমণ কাহিনী বিষয়ক প্রায় অর্ধশতাধিক পুস্তক রচনা এবং অনুবাদ করেন। ২০১৫ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৪০টি এবং আরও কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়।
তাঁর লিখিত মৌলিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম গল্পগ্রন্থ হচ্ছে মতবদল, সেরাগুপ্তচর কাহিনী। সামজ, কৃষি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, দর্শন ও ধর্ম বিষয়ক প্রবন্ধগুলোর মধ্যে- ইসলাম ও সমাজ কল্যাণ, জীবনমৃত্যু পরকাল, কুরআন ও হাদিসের কথা, মুসলিম বিশ্বের কৃষি, কোরআনের শিক্ষা ও সংস্কৃতি, জীবন মৃত্যু পরকাল ও আত্মার হালচাল, বিশ্বনবীর একশ একটি ভাষণ এবং হককানী আনজুমান ও মাওলানা আযানগাছী (রহ.) উল্লেখযোগ্য।
বহুগ্রন্থ প্রণেতা আব্দুল মতীন জালালাবাদী ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পারবিদ্যা, জীবনী ও ভ্রমণকাহিনী বিষয়ক অনেকগুলো গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন। তাঁর অনূদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑ ইসলাম মানবতার ধর্ম (মূল: ড. মুস্তফা আস্সাবায়ী), ইসলামের অর্থনৈতিক মতাদর্শ (১ম ও ২য় খন্ড, মূল: ড. মুহাম্মদ ইউসুফুদ্দিন), বিশ্বনবীর রাজনৈতিক জীবন (মূল: ড. মুহাম্মদ হামীদুল্লাহ্), আধুনিক চিন্তাধারা বনাম ধর্ম (মূল: ড. অহীদুদ্দীন খান), কাসাসুল কুরআন (১ম খন্ড, মূল : মাও. হিফযুর রহমান সেওহারভী), কাবুল থেকে আম্মান (মূল : মাও. সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নাদভী), উরসেকুলের নিয়মাবলী (মূল: হযরত মাও. আয়ানগাছী (রহ.), নকশে দাওয়াম (মূল: হযরত শাহ মাসউদী), আত্মার রহস্য (মূল: আর রূহ, ইমাম শামসুদ্দীন আবু আবদিল্লাহ্ ইবনে কাইয়িম) ৩য় সংস্করণ, তারিখ-ই-ইসলাম (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খন্ড, মূল : মাও. আকবর শাহ খান নাযিমাবাদী), মহানবীর ভাষণ (মূল: খুতবাতে নববী, আব্দুল কাইয়ুম নদভী), রাসুলে রহমত (মূল: মাওলানা আবুল কালাম), হায়াতুস্সাহাবা (৩য় খন্ড, মূল: মাও. ইউসুফ কান্ধালভী)।
আব্দুল মতীন জালালাবাদীর সম্পাদনায় অনেক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মাসিক দ্বীনে হানীফ তার মধ্যে অন্যতম। মাসিক দ্বীনে হানীফ ১৯৯২ সালে প্রথম বর্ষ সংখ্যা (পুস্তক আকারে) থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সপ্তদশ বর্ষ সংখ্যা পর্যন্ত তাঁর সম্পাদনায় আনজুমানে দ্বীনে হানীফ, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত হয়। হাককানী আনজুমানের অযীফা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক।
কাজী আব্দুল আলীম সংকলিত বাণী চিরন্তনীতে আহমদ বিন হাম্বল, আল্লামা ইকবাল, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, কাজী নজরুল ইসলাম, নেপোলিয়ান বোনাপোর্ট, ড. মুরিস বুকাইলি, টলষ্টয় ও কার্লাইলের মত মনীষিদের অমর বাণীর সাথে আব্দুল মতীন জালালাবাদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণী সংকলিত হয়েছে যা সত্যিই আমাদের তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গৌরবের বিষয়। আমেরিকার ওয়াশিংটন ডি.সি. তে অবস্থিত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম লাইব্রেরী অব কংগ্রেস সহ আমেরিকার ১৬টি পাবলিক লইব্রেরীতে আব্দুল মতীন জালালাবাদীর বই সংগ্রহে রয়েছে, যা একজন লেখকের জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি এবং আমাদের জন্যও গৌরবের।
ছাত্র জীবন, কর্মজীবন ও লেখক হিসেবে সফল হওয়ার পাশাপাশি সাংসারিক জীবনেও আব্দুল মতীন জালালাবাদী একজন সফল মানুষ। তাঁর স্ত্রী বেগম বুলবুল চৌধুরীও একজন সুলেখক। গৃহিনী সুহৃদ এবং ইসলাম ও পার্থিব জগৎ তাঁর লিখিত দু’টি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। বেগম বুলবুল চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) বি.এড এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রের একজন ডাক্তার। আব্দুল মতীন জালালাবাদী ও বেগম বুলবুল চৌধুরী দম্পতির তিন মেয়েই উচ্চশিক্ষিত ও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে তামান্না চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে এম.এস.সি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল Maphale leaf International School এ Senior Teacher হিসেবে কর্মরত আছেন। মেজো মেয়ে তাজকিয়া চৌধুরী Home Economics এ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থানসহ M.Sc ডিগ্রি অর্জন করেন এবং Home Economics College ধানমন্ডি, ঢাকার প্রভাষক ছিলেন। ছোট মেয়ে তাসকিয়া চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বি.এ. (অনার্স) এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি আলিয়া মাদ্রাসায় প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আব্দুল মতীন জালালাবাদী ইসলামী সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল স্টুডেন্টস্ এওয়ার্ড (বি.এন.এস.এ), লন্ডন পুরস্কার লাভ করেন এবং সম্প্রতি দানবীর ডঃ সৈয়দ রাগীব আলী কর্তৃক প্রদত্ত অনুবাদ সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ “রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫”এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সু-সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক ও সম্পাদক আব্দুল মতীন জালালাবাদীর ঢাকাস্থ এনায়েতগঞ্জ লেনের বাসভবনে আমরা (অনুপ্রাণন সম্পদক মো. নাসির উদ্দিন, উপ-সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী এবং আমি অনুপ্রাণন’র নির্বাহী সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান) নিরহংকারী ও জ্ঞানতাপস এই ব্যক্তিত্বের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করি এবং সিলেটের সাহিত্যাঙ্গন সহ বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃত
ি ও অন্যান্য বিষয় বিশেষ করে তাঁর শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, লেখক জীবন, সামাজিক জীবন ও পারিবারিক জীবন নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়। আলোচনার মধ্যে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধতার প্রসঙ্গ আসলে তিনি এই বিষয়কে বর্তমান সময়ে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে বলেনÑ বেশি বেশি করে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অর্থসহ অধ্যয়ন করতে হবে এবং জীবনের সকল সমস্যার সমাধানের জন্য আল-কোরআনের কাছে ছুটে যেতে হবে ও আল-কোরআন থেকে সকল সমস্যার সমাধান নিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের যারা লেখালেখি করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আব্দুল মতীন জালালবাদী অত্যন্ত চমৎকার আর ফলপ্রসু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেনÑ “যারা লেখক হতে চান তাদেরকে বেশি বেশি করে বই পড়তে হবে। বিভিন্ন ধরণের বই, প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্প, জীবনী ইত্যাদি পড়তে হবে। বই পড়তে পড়তে একসময় ভালো লেখক হয়ে উঠতে পারবে”।
লেখক: সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, প্রাচীন জৈন্তা ইতিহাস ঐতিহ্য গবেষণা পরিষদ।
Bangladeshi
at
00:31
0 comments:
Post a Comment