আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭ [Ajadi Andolon 1857]
আন্দামান দীপপুঞ্জ বঙ্গোপসাগর থেকে বেশী দূরে নয়।আন্দামানে নির্বাসিত হয়েছিলেন কত আলেম-ওলামা তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে পৌছেনি।কেন আলেমদের ওখানে নির্বাসিত করা হয়েছিল,ওখানে কি করা হয়েছিল তাদের?এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা যদি আগামী দিনের কান্ডারীদের হাতে না পৌছে দেই তবে বড় একটা ভুল হয়ে যাবে
। লেখকরা কত কিছুতেই না লিখে গেছেন সরঞ্জামের অভাবে।মাওলানা ফজলে হক্ক খায়রাবাদী ১৮৫৯সালে নির্বাসিত হন আন্দামানে।আস্ সাওরাতুল হিনদীয়া এবং কাসিদাতু ফিতনাতুল হিন্দ-এ দুটি ছিল তার সেই বন্দী জীবনের বিলাপ লিপি।এসব তিনি কাফনের কাপড়ে,টুকরা কাগজে লিখে রেখেছিলেন। মুফতী এনায়েত কাকুরী অনেক আগেই নির্বাসিত হয়েছিলেন ,তাকবীমুল বুলদান নামে একটি বই অনুবাদ করে কোন এক রাজ-কর্মচারীর সু-দৃষ্টিলাভ করেছিলেন এবং পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
মুফতী সাহেব চলে যাওয়ার সময় তার হাতে মাওলানা খায়রাবাদী সেই কাফনের কাপড় ও কিছু কাগজের টুকরা দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন এগুলো যেন তার সুযোগ্য পুত্র আব্দুল হক্ক খায়রাবাদীর নিকট পৌছে দেন।ইংরেজ আমলেই এটা প্রকাশিত হয়েছিল।মাওলানা আব্দুল হক্ক ও মাওলানা সামসুল হক্ক খায়রাবাদী পিতার মুক্তির জন্য বিলেতের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করেন ।অন্য দেশের সুধী সমাজ শিল্পি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ হতেও সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন পেশ হতে থাকে ।
অবশেষে ১৮৬১ সালে মাওলানার মুক্তি পরোয়ানা নিয়ে তার পুত্র আবদুল হক্ক সাহেব আন্দামানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেন।পৌছামাত্রই একটি জানাযা দেখতে পেলেন,তার পশ্চাতে যেন সমগ্র আন্দামানবাসী শোক মিছিল করে চলছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন ফজলে হক্ক খায়রাবাদীর জানাযা।কাফনের কাপড়ে কয়লা দিয়ে লিখিত বইটির বাংলা অনুবাদ-আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭।
। লেখকরা কত কিছুতেই না লিখে গেছেন সরঞ্জামের অভাবে।মাওলানা ফজলে হক্ক খায়রাবাদী ১৮৫৯সালে নির্বাসিত হন আন্দামানে।আস্ সাওরাতুল হিনদীয়া এবং কাসিদাতু ফিতনাতুল হিন্দ-এ দুটি ছিল তার সেই বন্দী জীবনের বিলাপ লিপি।এসব তিনি কাফনের কাপড়ে,টুকরা কাগজে লিখে রেখেছিলেন। মুফতী এনায়েত কাকুরী অনেক আগেই নির্বাসিত হয়েছিলেন ,তাকবীমুল বুলদান নামে একটি বই অনুবাদ করে কোন এক রাজ-কর্মচারীর সু-দৃষ্টিলাভ করেছিলেন এবং পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
মুফতী সাহেব চলে যাওয়ার সময় তার হাতে মাওলানা খায়রাবাদী সেই কাফনের কাপড় ও কিছু কাগজের টুকরা দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন এগুলো যেন তার সুযোগ্য পুত্র আব্দুল হক্ক খায়রাবাদীর নিকট পৌছে দেন।ইংরেজ আমলেই এটা প্রকাশিত হয়েছিল।মাওলানা আব্দুল হক্ক ও মাওলানা সামসুল হক্ক খায়রাবাদী পিতার মুক্তির জন্য বিলেতের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করেন ।অন্য দেশের সুধী সমাজ শিল্পি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ হতেও সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন পেশ হতে থাকে ।
অবশেষে ১৮৬১ সালে মাওলানার মুক্তি পরোয়ানা নিয়ে তার পুত্র আবদুল হক্ক সাহেব আন্দামানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেন।পৌছামাত্রই একটি জানাযা দেখতে পেলেন,তার পশ্চাতে যেন সমগ্র আন্দামানবাসী শোক মিছিল করে চলছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন ফজলে হক্ক খায়রাবাদীর জানাযা।কাফনের কাপড়ে কয়লা দিয়ে লিখিত বইটির বাংলা অনুবাদ-আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭।
0 comments:
Post a Comment