খ্রিস্টান ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম
লেখকঃ আহমদ দীদাতআহমদ দীদার ১৯১৮ সালে ভারতের সুরাট অঞ্চলে জম্ম গ্রহন করেন। তার বাবা দনি আফ্রিকায় থাকার কারনে তিনি নিজেও ৮ বছর বয়সে দনি আফ্রিকায় চলে আসেন এজহারূল হক নামে একটি গ্রন্থ তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই বইটিতে খৃস্টান মিশনারীর মোকাবেলায় মুসলিম আলেম ও পন্ডিতদের বক্তব্য বিতর্ক পদ্দতি উল্লেখ ছিল। দনি আফ্রিকার ডারবানে ঞযব ওংষধসরপ ঢ়ৎড়ঢ়ধমধঃরড়হ পবহঃবৎ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ প্রতিষ্ঠা করেন এবং আজীবন এর প্রেসিডেন্ট হন । ১৯৮৬ সালে তিনি রিয়াদে মুসলিম বিশ্বের নোবেল পুরস্কার নামে খ্যাত বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার পান। মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে খৃষ্টানদের ধারনা ঃ আহমাদ দীদাত একদিন একা খৃষ্টান পাদ্রীকে জিজ্ঞাস করল যে তাদের তাওরাতে মুহাম্মদ সম্পর্কে কোন কথা আছে কিনা ? খৃস্টান লোকটি নির্দিধায় বললেন না । তখন আহমদ দীদাত এর কারন জিজ্ঞাস করলে লোকটি এর কোন সঠিক জবাব দিতে পারল না আহমদ দীদাতের যুক্তি ঃ আহমদ দীদাত লোকটিকে তাওরাতের ৫ম পুস্তকের ১৮ নং অধ্যায়ের ১৮ নং শ্লোক খুলতে বললেন। যার অর্থ -“আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতা গনের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিব ও তাহার মুখে আমার বাক্য দিব । আর আমি তাহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন ” মুহাম্মদ (সাঃ)এর প্রতি ইঙ্গিত ঃ উক্ত বর্ননায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আর্বিভাবের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । কিন্তু যাজক অস্বীকার করে বলে এখানে হযরত ঈসা (আঃ) এর কথা বলা হয়েছে, মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা নয় । আহমদ দীদাত কতৃক ভূলের অপনোদনঃ আহমদ দীদাত খৃস্টান যাজককে বুঝাতে সম হয়েছেন যে তাওরাতে হযরত মুহাম্মদের কথা বলা হয়েছে ঈসা আঃ এর কথা নয়। যুক্তি ১- মা ও বাবাঃ মুসা (আঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) উভয়ের ই মা বাবা ছিল । কিন্তু ঈসা (আঃ) এর বাবা ছিল না । সুতরাং তাওরাতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথাই বলা হয়েছে , ঈসা (আঃ) এর কথা নয়। যুক্তি -২ অলৌকিক জম্মঃ হযরত মুসা( আঃ) এবং মুহাম্মদ (সাঃ) উভয়ই স্বাভাবিক ভাবে জম্ম গ্রহন করেন কিন্তু হযরত ঈসা (আঃ) অলৌকিকভাবে জম্ম গ্রহন করেন। যুক্তি-৩ বিবাহ বন্ধনঃ হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) ও মুসা (আঃ ) বিয়ে করেছিলেনএবং সন্তানের জনক হয়েছিলেন কিন্তু ঈসা (আঃ) চির কুমার ছিলেন। যুক্তি-৪ আপন জ্ঞাতি কতৃক ঈসা আঃ এর প্রত্যাখ্যাত
0 comments:
Post a Comment