হাসান প্রবেশ করলো এ এলাকায়। অনেক পথ হেঁটে ফসলের ক্ষেত আর বাগান পেরিয়ে গাঁয়ের বস্তি ছাড়িয়ে কেল্লার মত এক বাড়ির কাছে পৌঁছল ও। ডুবে যাচ্ছিলো সূর্য। বাইরের মাঠে খেলা করছিলো বালকেরা। এদিক ওদিক তাকিয়ে ও এগিয়ে গেল ফটকের কাছে। ভেতর থেকে ভেসে এল কুকুরের ঘেউঘেউ। কিছুক্ষণ এক ধরনের অস্থিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সে। তারপর দরজায় কড়া নেড়ে ডাকলো:''কেউ আছেন?"
...ভেতরে ঢুকতে যাবে এমন সময় এক বুড়ো চাকর দরজায় মাথা গলিয়ে প্রশ্ন করলো: কে তুমি?
: আমি হাসান। কোব্বাদের সাথে দেখা করতে চাই।
... গম্ভীর কণ্ঠে বলল হাসান, '' বোনের অনাবিল হাসির কথা সব সময়ই বলতো জাহাদাদ। আমার দুর্ভ্যাগ্য, আমি কোন খুশির খবর নিয়ে আসিনি।
স্তম্ভিত হয়ে হাসানের দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে রইলো মাহবানু।
: তুই বলতে এসেছো জাহাদাদ আর ফিরে আসবে না?
মাথা নত করে বলল হাসান: হায়, আমার কোন তদবীর যদি তাকে ফিরিয়ে আনতে পারতো!
: তুমি যদি বলো, রোমানদের কয়েদখানায় বন্দী আমার ভাই, অশ্রুর বদলে আমি হাসিমুখে স্বাগত জানাবো।
: আফসোস, যদি তা বলতে পারতাম!
: তুমি কি নিশ্চিত তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন?
: অন্তিম নি:শ্বাস পর্যন্ত আমি তার সাথে ছিলাম।
নসীম হিজাযীর আরেকটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ডাউনলোড করুন এবং শেয়ার করুন। যারা কায়সার ও কিসরা বইয়ে রোম-পারস্যের দ্বন্দ্বের ইতিহাস পড়েছেন, তারা এখানে পাবেন তার পরবর্তি গল্প। ইসলামের শান্তিময় নিরাপত্তার দূত মুক্তির-কাফেলার রোম-পারস্যে প্রবেশ ও বিজয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক উপন্যাস।
0 comments:
Post a Comment