Written By Bangladeshi on Saturday, 29 December 2018 | 07:28



Food Conference  pdf Download from Mediafire 1

Food Conference book pdf Download from Mediafire 2

Food Conference book pdf Download from Google Drive

Food Confarance book pdf Read Online

Food Confarance BUY NOW


রিভিউ লিখেছেনঃ Shawkat Ali Khan Hiron
 ফুড কনফারেন্স আবুল মনসুর আহমদ পৃষ্ঠা সংখ্যা:১১৪ মূল্য: ৬০ টাকা প্রচ্ছদ: সরদার জয়নুল আবেদীন আবুল মনসুর আহমদ বাংলা ব্যাঙ্গাত্নক সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। পেশায় একাধারে আইনজীবী, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গণের নগ্ন স্বার্থপরতা দেখেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন খুব কাছ থেকে যা তার লেখায় পরবর্তীতে এসেছে নিদারুণ ব্যাঙ্গের রূপে। বাঙালির চরিত্র চিত্রণে সৈয়দ মুজতবা আলীর সমসাময়ীক হয়েও ব্যঙ্গরসাত্নক গল্প রচনায় তিনি অনন্য সাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তাঁর অমর সৃষ্টি ‘ফুড কনফারেন্স’’ তেমনি এক নকশা। ফুড কনফারেন্স পড়ে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী অন্নদা শংকর রায় লিখেছিলেন, ‘আয়না’ লিখিয়া আবুল মনসুর প্রাতঃস্মরণীয় হইয়াছিলেন আর ‘ফুড কনফারেন্স’ লিখিয়া তিনি অমর হইলেন। ‘ফুড কনফারেন্স’ নয়টি গল্পের সংকলন। প্রতিটি গল্পই স্বতন্ত্র স্থান-কাল-পাত্র নিয়ে নির্মিত হলেও সামগ্রিকভাবে বাঙালি হিন্দু-মুসলমানদের জাতীয় চরিত্রের বাস্তব দিক নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রঙ্গ ও ব্যঙ্গের আশ্রয় নিয়ে লেখক বাঙালি চরিত্রের প্রধান দিকগুলো দেখিয়ে পাঠককে প্রচুর আনন্দ দিয়েছেন বটে ,কিন্তু শুধু হাসিই যে মুল উদ্দেশ্য নয়, হাসির পেছনে লেখকের মনের কষ্টের নদী যে উচ্ছ্বসিত ধারায় বয়েছে, সচেতন পাঠকের তা এড়িয়ে যাওয়ার যো নেই। লেখক প্রতিটা গল্পেই ব্যাঙ্গ, রঙ্গ, হিউমার এর সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়ে বাংলার জাতীয় জীবনে এই নৈতিক অধঃপতনের বয়ান দিয়েছেন । সংকলিত গল্পগুলোর নাম ‘ফুড কনফারেন্স, সায়েন্টিফিক বিজিনেস, এ আই সি সি, লঙ্গরখানা, রিলিফ ওয়ার্ক, গ্রো মোর ফুড, মিছিল, জমিদারী উচ্ছেদ, জনসেবা ইয়ুনিভার্সিটি । গল্পগুলো পড়ার কিছুক্ষণ পরেই হাসি থামানো কঠিন হয়ে পড়ে । “ফুড কনফারেন্স” গল্পে দুর্ভিক্ষ সামলাতে ব্যর্থ নেতাদের শেরে-বাংলা, মহিষে-বাংলা, কুত্তায়ে বাংলা, বিল্লিয়ে বাংলা, চুঁহায়ে বাংলা, বেজিয়ে বাংলা, শিয়ালে বাংলা থেকে শুরু করে পোকায়ে, মাকড়ে, চিঁউটিয়ে বাংলা ইত্যাদি নানা নাম দিয়ে প্রাণির চরিত্রের সাথে বাঙালির চিরত্রের সাদৃশ্য প্রকাশ করে ছেড়েছেন । চরিত্রগুলোর মুখে নানা সংলাপের মাধ্যমে তিনি ব্যাঙ্গ রসের টর্নডো ছুটিয়ে দিয়েছিলেন । খাদ্য সংকট কেন দেখা দিল সে নিয়ে পাঁচটি সূত্র দিয়ে সব দোষ চাষীদের উপর চাপিয়ে দেন নেতারা । আর যুক্তিগুলোর কথা নাইবা বললাম! “ফুড কনফারেন্স” এর শেষে সব “জানোয়ারে-বাংলা” রাই বেঁচে থাকে, “মানুষে বাংলা”রা সব মরে যায় । রূপকের আশ্রয়ে এতো স্পষ্ট সত্য কথা বাংলা সাহিত্যে আমি অন্তত দেখিনি। “সায়েন্টিফিক বিজিনেস” নামক গল্পে চাপরাশীগিরি আর কেরানীগিরি করে অভ্যস্ত বাঙ্গালি জাতিকে ব্যবসা, তেজারতি ইত্যাদি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় । আবুল মনসুর আহমদের কল্পনায় বাঙ্গালিতা তেজারতি শিখলে কি পরিমাণ অনর্থ করতে পারে তার বিস্তারিত বয়ান দিয়েছেন । বাঙ্গালি সবকিছুতেই তেজারতি করতে থাকায় রোগে ভুগে দুনিয়া থেকে সাফ হয়ে পরকালেও তেজারতি করে দুই নাম্বারি আরম্ভ করে । এই গল্পের শেষ হয় এভাবে-“……বাঙ্গালি জাত যেখানে যেখানে বাস করেছে, সেখানে হাইজিনিক মেযার হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দাও ।” বাংলাদেশের দুর্নীতি দমত কমিশনের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় গল্প হতে পারে যার মাধ্যমে দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো কমিশনের কাছে স্পষ্ট হবে। “এ আই সি সি” এর পূর্ণরূপ “অল ইন্ডিয়া কন্ডোলেন্স কমিটি” । এই লেখাটি যেই সময়ে লিখেছিলেন আবুর মনসুর আহমদ, সেই সময়ে সম্ভবত ভারতবর্ষে বিভিন্ন “শোক প্রকাশ সমিতি” গঠনের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল । তাই নিয়ে ব্যাঙ্গ করেই হয়ত এই লেখাটি লেখা হয়েছিল । যথারীতি হাস্যরসে পরিপূর্ণ একটি লেখা । “লঙ্গরখানা” গল্পটি আমার মতে বাংলা স্যাটায়ার হিসেবে ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে । দুই বন্ধু আকবর ও শমশের কিভাবে অধ্যাপনা ও উকিলগিরি ছেড়ে ধান্ধাবাজী করতে করতে নেতার পারমিশন বাগিয়ে লঙ্গরখানার কারবার খুলে বসে তাই নিয়ে এই স্যাটায়ার । এই লঙ্গরখানা ভুখা-নাঙ্গাদের খাওয়ানোর চেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে চাল-ডাল পাচারের কাজেই বেশি ব্যবহার হতে লাগল । কাজেই দিনে দিনে বাড়ে লঙ্গরখানার সংখ্যা, দিনে দিনে বাড়ে অভুক্তের পরিমাণ । মৃত মানুষের, মজুদদারদের, সেবক(!)দের পরিমাণ বাড়তেই থাকে । এভাবেই কাহিনী পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় । “রিলিফ ওয়ার্ক” এর হামিদ এক ব্যতিক্রম চরিত্র। বিপন্ন মানুষের সেবা করার জন্য ত্রাণ কার্যের দলে যোগদান করে । কিন্তু সেখানে গিয়ে হামিদ দেখতে পায় দুর্বল ভুখা-নাঙ্গারা বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে, আর মাত্রাতিরিক্ত খাতির আর ত্রাণ পাচ্ছে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা । হামিদের চোখে এই অনাচার বর্ণনা করেছেন লেখক । “গ্রো মোর ফুড” তখনকার কৃষিব্যবস্থার অব্যবস্থাপনাকে ইঙ্গিত করে আর “মিছিল” সাম্প্রতিক রাজনীতির পটপরিবর্তন নিয়ে লিখেছিলেন লেখক । এধরণের লেখা লিখতে সত্যিই সাহসের দরকার আছে । একেবারে হুল বিঁধানো মার্কা লেখা । “জমিদারি উচ্ছেদ” এই বইয়ের অন্যতম সার্থক একটা গল্প । এই গল্পে সাধারণ একজন ব্যক্তি(মুনশীজি) জমিদারি উচ্ছেদের অঙ্গীকার করে নির্বাচন করেন । লোকজন রেডিমেড খানবাহাদুরকে ভোট না দিয়ে মুনশীজিকে জেতাবার পর তার ভোল পালটে যায় । তিনি নিজেই নতুন জমিদার সেজে বসেন । আর নানা কুযুক্তি দিয়ে বোকা বানাতে থাকেন গ্রামের সরল সাধারণ মানুষদের । “জনসেবা ইয়ুনিভার্সিটি” গল্পটাও ভাল । একজন শিক্ষিত যুবক নানা-ছলাকলা করে জনসেবা করার কথা বলে লাটসায়েব হয়ে শেষ পর্যন্ত জনসেবা করতে সমর্থ হল তার একটি ব্যাঙ্গাত্নক কাহিনী । ‘ফুড কনফারেন্স’ অনেক আগের কাহিনী ও চিত্র। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা বাঙালিরা নতুন ভুখন্ড ও জাতীয় পরিচয় পেয়েছি। কিন্তু সে চিত্র আজও তেমনি জীবন্ত ও বাস্তব। খাদ্য ঘাড়তি, দুর্নীতি, অপরাজনীতি এখনো চলছে। তাই অমর এই গ্রন্থটি এখনো প্রাসঙ্গিক ও সমকালীন।

Related ফুড কনফারেন্স Keyword: আবুল মনসুর আহমেদের গল্প, আয়না pdf download, ফুড কনফারেন্স কার লেখা, জনসেবা ইউনিভার্সিটি, সাংবাদিকতায় আবুল মনসুর আহমদ, সাহিত্যে আবুল মনসুর আহমদ, জনসেবা ইউনিভার্সিটি গল্প, আবুল মনসুর আহমদ বই, ফুড কনফারেন্স - আবুল মনসুর আহমদ Food Confarance, ফুড কনফারেন্স by Abul Mansur Ahmed, 'ফুড কনফারেন্স' এর রচয়িতা কে?, 'ফুড কনফারেন্স' কি ধরনের রচনা?, ফুড কনফারেন্স pdf, ফুড কনফারেন্স রিভিউ, ফুড কনফারেন্স pdf download, ফুড কনফারেন্স বই, food conference pdf, food conference by abul mansur ahmed

1 comments:

  1. জনসেবা ইউনিভার্সিটি গল্পটার পিডিএফ চাই

    ReplyDelete

E Boi Download© 2014. All Rights Reserved. Template By Seocips.com
SEOCIPS Areasatu Adasenze Tempate Published By Kaizen Template